স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নাটকের অবদান অনস্বীকার্য। প্রতিবাদ ও পরিবর্তনের ভাষা হলো নাটক। নাট্যচর্চাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রাবার ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের ত্রয়োবিংশ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান খান, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দুদিনব্যাপী ত্রয়োবিংশ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শিরীন শারমিন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে তার প্রতিফলন ঘটেছে নাট্যজগতে। স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীকার ও ভাষা অন্দোলনের ইতিহাসকে ধারণ করে রচিত হয়েছে অনেক কাব্য, উপন্যাস ও নাটক। সে কারণে এ দেশের নাটকের আবেদন ফুরিয়ে যায় না—বরং নাটকে প্রতিফলিত হতে থাকে ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক ঘটনাবলি। এ কারণেই নাটক সমাজের দর্পণ।
তিনি বলেন, আগামী দিনে অনেক নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের সংবিধানে শোষণমুক্ত দেশ গড়ার যে অঙ্গীকার রয়েছে সেটা বাস্তবায়নে নাট্যকর্মীরা ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাঙালি জাতির রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। স্বাধীনতা ও ভাষার জন্য যে জাতি রক্ত দিয়েছে সে জাতির সংস্কৃতিবোধ অনন্য। এই সমৃদ্ধ ইতিহাস থেকে বাংলাদেশের জনগণ তাদের আত্মপরিচয় খুঁজে পেতে পারে।